Friday, January 05, 2007

সুখের আড়ালে সুখ।

সুখের আড়ালে সুখ।
মো: জাহাঙ্গীর আলম।

আজি এ আকাশ এত কেন ভালো
লাগিছে বুঝিনাতো,
যা পড়ে চোখে মুগ্ধ দেখে
পলক পড়েনাতো।
সেঝেছে আজ রং ধনু সাজে
নীলামার ঐ বুক,
এক চিলতে নেয মেঘ
কি যে লাগিছে সুখ।
মধ্য দুপুরে চৈত্র তাপে
দীঘির সলিলে,
কাটিছে সাতার ছোট ছেলে দল
লাফের তালে তালে।
রাখাল ছেলে আপন মনে
গান গেয়ে যায় মাঠে,
নব বধু তার চরণ লাগায়
সোনালী ধানের বুকে।
আজি কেন এত লাগিছে সুখ
হৃদয় বুঝেনা তো,
দুখের দিন শেষ হয় বুঝি
জীবন নিয়ম মত।
ঋতুর নিয়মে গ্রীষ্ম শেষে
আসিল শরৎ ঋতু,
আমায় থেকে হারিয়ে গেল
নীলার ভালবাসা টুকু।
দুখের দিন হয়না শেষ
জ্বলে তুষ অনল রূপে,
ভালোলাগাতে সুখ ভেবেছি
বুঝিনী এতে সুখ লোকিয়ে।
৩০/০১/১৯৯৯

হৃদয়ের ঘরে

হৃদয়ের ঘরে।
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।

খুলিয়াছি আজ
হৃদয়ের দার,
আসিবে কে ? আসো আজ
হৃদয়ের ঘরে।
বসন্তের কুলে, সবুজ ছায়াতলে
মোর হৃদয়ে রাখিতে চাই-
উদার ভালোবাসা দিয়ে,
কে আসিবে আসো আজ ?
মোর হৃদয়ের ঘরে।
মোর হৃদয় নদীতে
কে ভাসিতে চাও ?
অঙ্গ ভেজাতে-হৃদয়ের জলে;
আজ এ বসন্তে তবে
করো না দেরি,
কৃন্ঞচুড়ার রং বুকে ধরে
চলে আসো মোর হৃদয়ের ঘরে।
২৬/০৬/২০০৪

Sunday, September 03, 2006

নারী

হে নারী
তোমাকে খুজি আমি,
পূর্ণিমার রাত্রিতে
মিলনের আনন্দে।
জোৎসনা রাতের
ফুট ফোটে আলোতে,
বেদনাময় তিথীতে
অশ্রুভেজা নয়নে।
না বলা রহ্যসে
সংগ্রামী আনন্দে,
অতীতের স্মৃতীতে
ভালোবাসার মায়াতে।
গোলাপের পাপড়িতে
কলেজের ক্যাম্পাসে,
গোলাপী ঠোটের হাঁসিতে
না বলা ভাষাতে।
নবান্নের উৎসবে
ধান ছড়ানো উঠোনে,
হেমন্তের কনকনে শীতে
চাদর জড়ানো গাঁয়ে।
শিশির ভেজা মাঠে
সিনিগ্ধ কোমলের মাঝে
আর
বিধাতার অপরুপ সৃষ্টির
রহ্যসের মাঝে।

৪-০৫-১৯৯৭

Monday, August 28, 2006

সত্যি কারের হাঁসি

হাঁসি কেবল শুধুই সুখের
কান্নার কেন নয়,
কেন এদের দুইয়ের মাঝে
এত ব্যবধান রয়।
সুখ পাখিরা হাঁসবে শুধু
দুখ পাখিরা নয়;
দুখ পাখিরা কাঁদবে শুধু
তাই কি বল হয়?
এ সমাজে কজনা সুখি
কজনা পারে হাঁসতে
সত্যি কারের হাঁসি;
দুঃখ যাদের নিত্যকারের সাথী
শুধুই পারে হাঁসতে তারা
সত্যি কারের হাঁসি।
১৯-০১-২০০৪

Sunday, August 27, 2006

ত্রকখন্ড মেঘ

ত্রকখন্ড মেঘ চেয়েছিলাম-তোমার কাছে,
মেলেনি;
লান্চনায়,গন্জনায় মুড়িয়ে-উপহাস করে,
ফিরিয়ে দিয়েছ আমাকে।
অবশেষে-ত্রকখন্ড মেঘে চেয়ও
মেলেনি তোমার কাছ থেকে,
ভেবেছিলাম কষ্ট গুলো
বৃষ্টির মত জড়িয়ে-শূন্য হয়ে যাব ;
কিন্তু তাও দিলেনা।
ধুলোর মত উড়িয়ে দিলে-সে চাওয়া
বিশ্বের পবনে,
আজ আমি উড়ে চলি-ঠিকানা বিহীণ
গ্রীষ্মের পবণ থেকে-বর্ষার পবণে,
বলতে পারো-এভাবে ছয় ঋতুর স্পর্শ নিয়ে
আর কত কাল-আর কত কাল চলতে হবে;
আমি আর উড়তে চায়না-উড়তে,
আমাকে গ্রাস কর হেমৃত্যু;
এনে দাও স্থবিরতা-
করে তোল নীল তোমার পরশে
রেখে আসো অন্ধ কুটিরে;
আর যেন উড়তে না হয়-
আমাকে,
আমার মত অন্য আর -
কাউকে ।

Saturday, August 26, 2006

নীল কষ্ট

শূণ্যতার বুক ছুয়ে
আর কত কাল ভাবতে হবে তোমায়
কত কাল থাকতে হবে
তপ্যসার ইন্দ্রজালে বন্দী হয়ে।
এমনি আর কত কাল
নিযাতিত হতে হবে- আশ্বাষের কাচ্ছে,
ব্রীজের মত দাড়িয়ে থেকে
আর কত কাল পাড়ীদিতে হবে
মাল বোঝাই করা গাড়ির মত
ভালোবাসার নীল কষ্ট।

Friday, August 25, 2006

পাপমুক্ত

গঙ্গার জলে ডুব দিলেই কি
পাপ মুছে যাবে,
হওয়া যাবে কি তার মত
একটি শিশু জন্মের সময়
যতটা থাকে পাপ মুক্ত
ঠিকতোত ?

Wednesday, August 23, 2006

পতাকায়

এসেছ তুমি স্বাধীনতা
শোষনের বসন ছিড়ে,
করেছ দান পরাধীন জাতিকে
সম্মানের সাথে বাচতে।
উঠেছে আজ চারদিকে শোন
হে স্বাধীসতা, তোমারী জয়গান,
উল্লাসে তাই কাপিছে গগণ
নেই কোন পিছুটান।
এসেছ তুমি কত না রুপে
এই বাংলার মাটিতে,
নববধু তার ভেংগেছে কপাল
তোমার,আগমনের মূল্য দিতে গিয়ে।
কত মাতা তার হারিয়েছে সন্তান
বুকের পাজর থেকে,
ওপারে গিয়ে কূলে উঠে দেখে
বুকে নেই ধন - নিয়েছেস স্রোতে কেড়ে।
সন্তান হারা মায়ের কান্নায়
ধরনী কেপে ওঠে,
নারী ছেড়া ধন করিল উতর্সগ
তোমার আগমনে।
জ্বালিয়েছ তুমি কত বাড়ি ঘর
পুড়িয়ে করেছ ছাই,
তোমার আগমন এত নিষ্টুর কেন
চোখে জল ঝড়াই।
যাদের ত্যাগে এসেছ তুমি
হে স্বাধীনতা ,
তাদের আমরা করিব সরর্ণ
তোমার পতাকায়।


13-12-1998